একুশে স্পোর্টস
লাহোরে জমে উঠেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের উত্তাপ। মাঠের লড়াই শুরুর আগেই আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন—পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যতই মিশ্র হোক, তাদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
‘সবাই বলছে পাকিস্তান ভালো খেলছে না, কিন্তু পাকিস্তান তো পাকিস্তানই। যে কোনো দলকে হারানোর ক্ষমতা তাদের আছে,’—গভীর শ্রদ্ধা ও বাস্তবতাকে একসঙ্গে তুলে ধরলেন ৬২ বছর বয়সী ক্যারিবীয় কোচ।
দলে নেই মোস্তাফিজুর রহমানসহ একাধিক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। তবে সিমন্স এ নিয়ে ভেঙে পড়ার পাত্র নন। বরং এই অনুপস্থিতিকে দেখছেন নতুনদের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে।
‘যখন সিনিয়ররা থাকে না, তখন তরুণদের উঠে আসার সুযোগ তৈরি হয়। এমন একজনই হয়তো ভবিষ্যতের তারকা হয়ে উঠবে,’ বললেন কোচ।
দলের মূল শক্তি হিসেবে তরুণ খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আর প্র্যাকটিসে নিবেদনকেই দেখছেন সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে।
বাংলাদেশ দলের কয়েকজন খেলোয়াড় পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, যা এই সফরে বাড়তি সহায়তা দেবে বলে মনে করেন সিমন্স।
‘যারা পিএসএলে খেলেছে, তারা এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা দিয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে,’ তিনি জানান।
নিজের খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তান সফরের স্মৃতিচারণ করে সিমন্স বলেন, ‘পাকিস্তানে খেলতে আসাটা সবসময়ই আমার জন্য বিশেষ কিছু। এখানে দুর্দান্ত পরিবেশ এবং ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা আমাকে মুগ্ধ করে।’
যদিও অভিজ্ঞতার দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে বাংলাদেশ, তবু আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি নেই দলের কোচের।
‘আমাদের প্রধান কয়েকজন খেলোয়াড়কে আমরা মিস করব, কিন্তু বর্তমান স্কোয়াড নিয়েই আমরা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব,’ আত্মবিশ্বাস ঝরল তার কণ্ঠে।
প্রসঙ্গে এল নতুন বোলিং কোচ শন টেইটের নামও। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের যোগদানে দলের বোলিং বিভাগে নতুন মাত্রা আসবে বলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিমন্স।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। ম্যাচ তিনটি যথাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মে, ৩০ মে ও ১ জুন। এরই মধ্যে অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে বাংলাদেশ দল। ফিটনেস ও স্কিল সেশন মিলিয়ে চলছে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি। পিএসএলের ফাইনালে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়েছে বিশ্রাম।
বাংলাদেশ স্কোয়াড:
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান (সহ-অধিনায়ক), তানভীর ইসলাম, খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব, শরীফুল ইসলাম।
Leave a Reply